সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেলো দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটন
সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সর্বত্র ব্র্যান্ডের বিচারক সংস্থা। ১৯৯৪ সাল থেকে সংস্থাটি বিশ্বের ৯০টি দেশে ব্র্যান্ডিংয়ে কাজ করছে
একের পর এক সাফল্যের পালক যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটনের মুকুটে। মিলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এরই ধারাবাহিকতায় সুপারব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেলো দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটন। লন্ডনভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থা সুপারব্র্যান্ড ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ওয়ালটনকে ‘সুপারব্র্যান্ড’ সম্মাননা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক জমকালো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেশের এবারের সুপারব্র্যান্ডগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডের বিশেষ প্রকাশনাও উন্মোচন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
উল্লেখ্য, সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সর্বত্র ব্র্যান্ডের বিচারক সংস্থা। ১৯৯৪ সাল থেকে সংস্থাটি বিশ্বের ৯০টি দেশে ব্র্যান্ডিংয়ে কাজ করছে। ফলে সুপারব্র্যান্ডস দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর জন্য সর্ববৃহৎ সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের সুপারব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনের গল্প প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন স্বতন্ত্র ব্যাকগ্রাউন্ড এবং স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচারকমণ্ডলীর সমন্বয়ে গঠিত ‘ব্র্যান্ড কাউন্সিল’ বাংলাদেশের ২০২০-২০২১ সালের সুপারব্র্যান্ডগুলো নির্বাচিত করেছে।
এবারের সুপারব্র্যান্ডের মর্যাদা পাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নির্মাণ, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, জ্বালানি, ওষুধ তৈরি, বিমা, প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, যানবাহন নির্মাণ, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমসহ অনেকগুলো খাত থেকে ৪০টি কোম্পানি স্থান পেয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের জেনারেল ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভ এডিটর সাজিদ মাহবুব সুপারব্র্যান্ডের পক্ষে ওয়ালটনকে ট্রফি ও সনদ তুলে দেন। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ তার হাত থেকে ট্রফি ও সনদ গ্রহণ করেন।
এ সময় গোলাম মুর্শেদ বলেন, ওয়ালটন এখন সুপারব্র্যান্ড। এর আগে গত বছর ষষ্ঠবারের মতো বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ওয়ালটন। নিয়মিত মিলছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য পুরস্কার, সম্মাননা ও স্বীকৃতি। দেশের অগণিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীর আস্থা, ভালোবাসা ও সমর্থনের ফলে ওয়ালটনের এ অর্জন। ওয়ালটনের সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্রেতা-শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশে নিয়ে এবার আমরা বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ছুটে চলছি। আমাদের বিশ্বাস ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের একটি হবে ওয়ালটন।