প্রযুক্তির সহজলভ্যতার এ সময়ে ইন্টারনেট থেকে আয় করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই। ইন্টারনেট থেকে আয়ের বর্তমানে নির্ভরশীল প্ল্যাটফরম ইউটিউব। এখনও অনেকেই ইউটিউব থেকে আয় করছেন পাশাপাশি জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। আবার অনেকেই নতুন করে শুরু করতে চান ইউটিউবের কনটেন্ট মেকিং এবং আয়। আজকের টিপসে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জনের জন্য যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে তারই বিস্তারিত আজ দেয়া গেল।
* প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র ইউটিউবারদের মতে, একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার পেছনে নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য থাকা প্রয়োজন। শখ হল আর ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ফেললাম তেমনটি যেন না হয়।
* ইউটিউব চ্যানেলের কনটেন্ট বা বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন। বিষয় সর্বদা আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন বা শ্রুতিমধুর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
* যে কোনো ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের প্রাথমিক শর্ত হল রেগুলারিটি। অর্থাৎ চ্যানেলের অ্যাডমিনকে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট রাখতে হবে। প্রয়োজনে চ্যানেল খোলার আগে থেকে দুই বা তিন সপ্তাহের কনটেন্ট মজুত করে রাখতে হবে।
* ভিডিও’র কোয়ালিটি অবশ্যই ঝকঝকে হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া শব্দও পরিষ্কার থাকতে হবে।
* ওইসব শর্ত ঠিকঠাকভাবে পূরণ করলে, সহজেই হাজারখানেক সাবস্ক্রাইবার হতে পারে যে কোনো ইউটিউব চ্যানেলের। এরপর আসে ওয়াচ আওয়ার বাড়ানোর প্রসঙ্গ। টেক-বিশারদদের মতে, প্রথম ক্ষেত্রে টার্গেট নেয়া উচিত, যত দ্রুত সম্ভব ওয়াচ আওয়ারের মাত্রা ৪ হাজার অতিক্রম করা।
* এরপরই ইউটিউবের চ্যানেলের সঙ্গে গুগল অ্যাডসেন্সকে যুক্ত করা যায়। তবে এখানেই কাজ শেষ হয় না। এরপর যত আকর্ষণীয় ভিডিও চ্যানেলে আপলোড করা হবে ততই চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং চ্যানেলে আসতে থাকবে গুগল অ্যাড।
* তবে কনটেন্ট বা বিষয় আকর্ষণীয় না হলেও রোজগার করা যায় ইউটিউব থেকে। এক্ষেত্রে চ্যানেলের ভিডিওটিতে স্পন্সরড ভিডিও হিসেবে তৈরি করা যায়। উদাহরণ- যদি কোনো খাবারবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল সেরা রেস্তোরাঁগুলোকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রস্তুত করে এবং সেই ভিডিও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেক্ষেত্রে রেস্তোরাঁগুলোও জনপ্রিয়তা পাবে। তখন ইউটিউব চ্যানেলের মালিক রেস্তোরাঁগুলো থেকে নির্দিষ্ট অর্থ পেতে পারে।